By Tapon Majumder | October 18, 2024
ফ্রিল্যান্সিং পেশায় অধিকাংশ কাজ করতে হয় কম্পিউটারের সামনে। দীর্ঘ সময় স্ক্রীনে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের ক্লান্তি ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং ক্লান্তি কমাতে কিছু কার্যকরী টিপস জানা জরুরি।
প্রতি ২০ মিনিট কাজ করার পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে থাকা কোনও বস্তুর দিকে তাকান। এটি চোখের ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে এবং চোখের মাংসপেশিকে শিথিল রাখতে সাহায্য করে।
কাজের সময় রুমের আলো খেয়াল রাখা উচিত। অত্যधिक আলো চোখে ক্লান্তি আনতে পারে, তাই নরম ও পরোক্ষ আলো ব্যবহার করুন। অ্যান্টি-গ্লেয়ারের ফিল্টার স্ক্রীনের রিফ্লেকশন কমাতে সাহায্য করে।
কম্পিউটার স্ক্রীন চোখের উচ্চতার সমান্তরালে রাখা উচিত। স্ক্রীন থেকে চোখের দূরত্ব ২০-৩০ ইঞ্চি হওয়া উচিত এবং স্ক্রীনের উপরের অংশ চোখের সমতল বা সামান্য নিচে থাকতে হবে।
সহজ কিছু ব্যায়াম করতে পারেন যাতে চোখের ক্লান্তি কমে :
যারা অনেক সময় স্ক্রীনের সামনে কাটান, তাদের চোখ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এসময় চোখের ড্রপ ব্যবহার করে চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারেন।
সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করুন। ভিটামিন এ, সি, ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন গাজর, পালং শাক, মাছ, বাদাম ও ফল খুব উপকারী।
প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি ক্লান্তি কমাতে এবং কাজে মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
রোদে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন, যা ইউভি রশ্মি থেকে চোখকে সুরক্ষা দেয়।
ধূমপান চোখের জন্য ক্ষতিকর এবং রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
প্রতি বছর অন্তত একবার চোখের পরীক্ষা করানো উচিত, যাতে চোখের সমস্যা শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেওয়া যায়।
প্রতি ২ ঘণ্টা কাজের পর ১০-১৫ মিনিটের বিরতি নিন। এটি শুধু চোখ নয়, পুরো শরীরের ক্লান্তি কমায়।
বায়ুর আর্দ্রতা বজায় রাখুন। শুষ্ক পরিবেশ চোখের শুষ্কতা বাড়ায়। এয়ার কন্ডিশনার বা হিটার ব্যবহার করলে আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
কম্পিউটার স্ক্রীন ও চশমা পরিষ্কার রাখুন। ধুলা বা ময়লা থাকলে চোখের সমস্যা বাড়তে পারে।
কম্পিউটার স্ক্রীন থেকে নির্গত নীল আলো চোখের জন্য ক্ষতিকর। ব্লু-লাইট ফিল্টার ব্যবহার করুন বা কম্পিউটার সেটিংস থেকে নীল আলোর মাত্রা কমান।
অতিরিক্ত সময় কম্পিউটার স্ক্রীনের সামনে কাটানো থেকে বিরত থাকুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পরে কম্পিউটার ব্যবহার বন্ধ করুন।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য চোখের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। উপরে উল্লেখিত টিপসগুলি মেনে চললে চোখের ক্লান্তি কমবে এবং চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করা সহজ হবে। আপনার চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধা বজায় রাখা সম্ভব হবে।
আশা করি এই আর্টিকেলটি ফ্রিল্যান্সারদের এবং যারা কম্পিউটার স্ক্রীন এ দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেন তাদের চোখের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহায়ক হবে। আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনাদের চোখের যত্ন নেওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হবে। আপনারা চোখের যত্নে সচেতন হবেন। সবার ফ্রিল্যান্সিং জীবন সুন্দর হোক। হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং।
Tapon Majumder is a local SEO expert who has been working on SEO for almost 2 years. He can designs WordPress websites. He is also a freelancer.